কনটেন্ট রাইটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তথ্যবহুল, আকর্ষণীয় এবং পাঠকবান্ধব লেখা তৈরি করা হয়।
যেমন :
সাধারণভাবে বলতে গেলে, অনলাইনে যেকোনো লেখা যার উদ্দেশ্য পাঠককে তথ্য দেওয়া, বোঝানো বা কোনো কাজ করতে উৎসাহিত করা সবকিছুই কনটেন্ট রাইটিং এর অন্তর্ভুক্ত।
একটি ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের জন্য কনটেন্ট হচ্ছে ডিজিটাল মুখপত্র।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিত্তি:
আপনার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল সবকিছুতেই কনটেন্ট প্রয়োজন। কনটেন্ট ছাড়া কোনো মার্কেটিং টেকসই হয় না।
SEO বা সার্চ র্যাঙ্কিং:
গুগলে টপ র্যাঙ্ক পাওয়ার জন্য মানসম্মত SEO কনটেন্ট অপরিহার্য। ভালোভাবে লেখা আর্টিকেল ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক নিয়ে আসে।
ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি:
একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরি করতে মানুষের আস্থা দরকার। নিয়মিত তথ্যবহুল ও প্রভাবশালী কনটেন্ট সেই আস্থা তৈরি করে।
কনটেন্ট রাইটিং এর ভেতরে রয়েছে একাধিক ক্যাটাগরি। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ধরন হলো
একজন সফল কনটেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য শুধুমাত্র লেখার দক্ষতা থাকলেই হবে না, এর পাশাপাশি আরও কিছু স্কিল থাকা দরকার
বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং শেখা আগের চেয়ে অনেক সহজ। কিছু উপায় হলো
আজকের দিনে কনটেন্ট রাইটিং একটি চাহিদাসম্পন্ন ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে ফুল-টাইম জব সব জায়গায় কনটেন্ট রাইটারের প্রয়োজন রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস: Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদিতে কনটেন্ট রাইটারদের প্রচুর চাহিদা।
ই-কমার্স কোম্পানি: পণ্যের বর্ণনা, প্রোডাক্ট ক্যাটালগ লেখার জন্য কনটেন্ট রাইটারের দরকার হয়।
এডুকেশন সেক্টর: অনলাইন কোর্স, লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ও টিউশন ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং এর সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া, একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার চাইলে নিজের ব্লগ শুরু করে বিজ্ঞাপন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয়ের পথও তৈরি করতে পারেন।
সংক্ষেপে বলা যায়, কনটেন্ট রাইটিং হলো ডিজিটাল জগতের প্রাণভোমরা। মানসম্মত কনটেন্ট ছাড়া কোনো ব্র্যান্ড বা ব্যবসা অনলাইনে টিকে থাকতে পারে না। এটি শুধু লেখার কাজ নয়, বরং গবেষণা, মার্কেটিং এবং পাঠকের মনস্তত্ত্ব বোঝার একটি শিল্প।
SHARE